নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডে অবসরপ্রাপ্তএক সেনা সদস্যের পরিবারের কাছে চাঁদার দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২ই (জুন) ( বুধবার) অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো: আবুল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত নালিশী আমলে নিয়ে আসামীদের শ শরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেন। যার এম পি মামলা নং- ৭৫/২০২১। মামলার আসামীরা হলো : মোঃ রাজীব হোসেন হাওলাদার (৩৫), মোঃ লোকমান হোসেন হাওলাদার (৩৮) উভয় পিতা-মোঃ আসলাম হাওলাদার, মোঃ আসলাম হাওলাদার, (৫৫) পিতামৃত-ইয়ার আলী হাওলাদার সর্ব সাং-দক্ষিণ রূপাতলী, পুলিশ বাড়ী সড়ক, ২৪নং ওয়ার্ড। এরবাইরে আরো অজ্ঞাতনামা আসামী রয়েছে। বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিবাদীগন পরস্পর একদলীয় দাঙ্গাহাঙ্গামাকারী সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ভূমিদস্যু ও পর সম্পদ জবর দখলকারী প্রকৃতির লোক। তাদের দলে আরো অনেক সন্ত্রাসী ও অন্ত্রধারী লোক রয়েছে। নিজেদের স্বার্থে বিবাদীরা করতে পারে না এমন কোন অপরাধ নাই। বিবাদীরা কোন শালিস ব্যবস্থা কিংবা আইন কানুনের তোয়াক্কা করে না। পক্ষান্তরে বাদী একজন শান্তি প্রিয় আইন মান্যকারী নাগরিক। বিবাদীরা বাদীর প্রতিবেশী। বাদী ১৯৮৮ সনে চাকুরী হতে অবসর গ্রহন করে রূপাতলীতে বসবাস করে আসছে। বাদীর ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমান ২০০৯ সালের ১ মার্চ সাফ কবালা দলিল নং ১০৯৮/২০০৯ রূপাতলী মৌজায় এস এ খতিয়ান নং-৬৯৮৪, দাগ নং ৪২১৮, ৪২২৪, হতে ০২ (দুই) শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করো আসতেছে। দলিল মূলে বাদীর ছেলে ১০ (দশ) শতাংশ জমি ক্রয় করে। উল্লেখিত দাগে সম্পত্তি ০২ (দুই) শতাংশ আছে। ২০০৯ সাল হতে জমি ভোগ দখল থাকিয় বসত বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করে আসতেছে। মাস তিনেক পূর্বে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন হতে প্ল্যানের অনুমোদন নিয়ে বিল্ডিং নির্মাণ কাজ শুরু করে গ্রেট ভীমের কাজ শেষ হলে বিবাদীরা এসে অন্যায়ভাবে বাধা প্রদান করে বাদীর কাজ বন্ধ করে দেয়। বাদী স্থানীয় কাউন্সিলর এর শরনাপন্ন হলে কাউন্সিলর সার্ভেয়ার দ্বারা উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে চলতি বছরের ৩১ মে জমি পরিমাপ করে এবং বিবাদীরা কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারে নাই। জমি পরিমাপ শেষে বাদী বিবাদীদের জমির মধ্যে আরও ০৬ ইঞ্চি জমি পায়। যা স্থানীয় কাউন্সিল বাদীকে দাবী ছেড়ে দিতে বললে বাদী দাবী ছেড়ে দেয়। তরপরও বিবাদীরা অন্যায়ভাবে মাপঝোক না মেনে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। এরইধারাবাহিকতায় গত ১ জুন মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে বাদী তার ভোগ দখলীয় সম্পত্তি নির্মান কাজ শুরু করলে সকল বিবাদীরা বে-আইনী জনতাবদ্ধে মারাত্মক অন্ত্র যথা রড, লাঠি-সোটা বাদীর বসত বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে অন্যায় ভাবে বাদীর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। বাদী কাজ বন্ধ করার কারন জিজ্ঞাসা করিলে ১-২ নং বিবাদী বাদীর নিকট দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। বিবাদীরা বলে যে, তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পাইলে বাদীর নির্মাণ কাজ করতে দিবে না। নির্মাণ কাজ শুরু করলে বাদীকে খুন জখম করার জন্য আক্রমন করতে উদ্যত হলে বাদী বিবাদীদের কবল হতে বাচার জন্য প্রান রক্ষার্থে ডাক চিৎকার দিলে স্বাক্ষীরা সহ স্থানীয় লোকজন এসে বিবাদীদের বাধা প্রদান করে। স্বাক্ষীদের সময়মত বাধার কারনে বিবাদীরা তাৎক্ষনিক বাদীর খুন জখম সহ কোন প্রকার ক্ষতি করতে না পেরে চলে যায়। স্বাক্ষীদের বাধার মুখে বিবাদীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় এই বলে বাদীকে হুমকি দেয় যে, এই বিষয়ে কোন মামলা মোকদ্দমা করলে বাদী ও তার পরিবাররের সদস্যদেরকে খুন জখম সহ মিথ্যা মামলা মোকদ্দামা দিয়ে হয়রানী ও জব্দ করবে। এরকম অবস্থায় বাদী ও তার পরিবারের সদস্যরা বিবাদীদের হুমকির কারনে পথে ঘাটে হাটে বাজারে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে না। যে কোন মুহুর্তে বিবাদীদের দ্বারা গুরুতর শান্তি ভঙ্গের আশংকা বিদ্যমান রয়েছে। এদিকে মামলা দায়ের এর খবরে আসামীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারা বাদীকে বিভিন্ন কায়দায় হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে। এদের মধ্যে আসামী রাজীব বাদীকে হুমকি দিয়ে বলেন, পুলিশ আমার পকেটে থাকে। আমি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক শাফিন মাহমুদ তারেকের রাজনীতি করি। এবং তার কথা ছাড়া কোন কাজ করি না। অপরদিকে মামলার বাদী মো: আবুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মামলা দায়ের এর পর আসামীরা বিভিন্নভাবে আমাকে সহ আমার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছি। যে কোন সময় আসামীরা আমার ও আমার পরিবারের বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
Leave a Reply